সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু সবসময় মাল্টি-ফ্লোরাল হয়। আমাদের কাছে সুন্দরবনের যে মধুটি পাবেন এটি সুন্দরবনের খলিশা এবং গরান ফুলের মৌসুমের মধু। সুন্দরবনে যেসকল ফুলের (খলিশা, গরান, কেওড়া, বাইন, লতা, ইত্যাদি) মধু পাওয়া যায়, এগুলোর মধ্যে খলিশা এবং গরান ফুলের মধু সবচেয়ে সুস্বাদু।
সুন্দরবনের মধু কীভাবে সংগ্রহ করে?
সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ করা একটি প্রচলিত পেশা। সাধারণত সারাবছরেই কিছু পরিমাণ মধু এই বন থেকে সংগ্রহ করা হয় তবে মধু সংগ্রহের প্রধান সময় হচ্ছে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত। কারণ এই সময় সুন্দরবনে নানা ধরনের ফুল ফোটে। সেগুলো থেকে নেকটার সংগ্রহ করে তা চাকে জমা করে মধুতে পরিণত হয়। পরবর্তীতে, মৌয়াল রা দল বেঁধে ধোঁওয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়িয়ে তা থেকে মধু সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তা লোকাল বাজারে বিক্রি সহ প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বিক্রি করা হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে সেই মধু দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়।
অর্ডারের পূর্বে সুন্দরবনের মধুর যে বৈশিষ্ট্যগুলি জেনে নেয়া আবশ্যকঃ
সুন্দরবনের বিশেষ আবহাওয়ার কারণে এই মধুর ঘনত্ব সবসময় পাতলা হয়৷ এটি সুন্দরবনের বুনো মৌমাছির প্রাকৃতিক চাকের RAW মধু। এতে কোন প্রকার প্রসেসিং করা নেই।
সুন্দরবনের এই মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক কম থাকে এবং ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সুন্দরবনের মধু শীতকালেও তরল থাকে। জমে দানাদার হয় না।
পাত্র পরিবর্তনে বা ঝাঁকি দিলে এই মধুতে অনেকসময় ফ্যানা তৈরি হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এই ফ্যানা আবার তরল মধুতে রুপান্তরিত হয়ে যাবে।
এই মধুর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, মধু সংগ্রহের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মধুর উপরে হলুদ রঙের ফুলের পরাগরেণুর আস্তরণ জমা হয়। এটি খুবই স্বাস্থ্যকর এবং একটি উন্নত প্রোটিনের উৎস।
সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা গুলো হলো:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ।
ত্বকের দাগ দূর করে ।
হজম বৃদ্ধি করে ।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে ।
গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করে।
দেহ প্রাণবন্ত রাখে।
১ কেজি ১,৩০০ টাকা মাত্র
৩ কেজি অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি!